যশোরের প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ কথা কথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, শিক্ষা গুরুর মর্যাদা যেন ভুলতে বসেছে বর্তমান প্রজন্ম। তাই কিছুদিন পরপর শোনা যাচ্ছে শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষক লাঞ্ছনার খবর। আর শিক্ষার্থীদের এমন অবক্ষয়ের জন্য দায়ী পরিবার ও অনিয়ন্ত্রিত মোবাইল ফোন। মোবাইলের প্রতি আসক্তি শিশুদের সামাজিক দক্ষতা নষ্ট করছে।
ফলে তৈরি হচ্ছে শিশুদের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। শিশুদের পারিবারিক ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এ থেকে দূরে রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে সিগারেটের দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে। বিদ্যালয় বা কলেজে না গিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র, ক্যাফেতে বসে যে শিক্ষার্থীরা আড্ডা দেবে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, র্যাব-৬ যশোরের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি শফিকুর রহমান, সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশ,
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট কুমার সাহা, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক বিল্লাল বিন কাশেম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান, রাইটস যশোরের নির্বাহী কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।